অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ তথ্য সংগ্রহ শুরু

অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ তথ্য সংগ্রহ শুরু

২০২৪ সালের অর্থনৈতিক শুমারি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও পরিকল্পনা প্রণয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে দেশজুড়ে শুরু হতে যাওয়া এই শুমারির মূল কার্যক্রম ১৫ দিনব্যাপী চলবে এবং শেষ হবে ২৬ ডিসেম্বর

এবারের শুমারিতে বিদেশি কর্মীদের নিয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

মো. মাহবুব হোসেন জানান, শুমারি কার্যক্রম সহজ ও সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য জিআইএস জিওকোড ব্যবহার করে একটি ডিজিটাল মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত ট্যাবলেটগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য এমডিএম সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে।

এছাড়া, সংগৃহীত তথ্যের সুরক্ষা এবং সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের উন্নত ডেটা সেন্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায় থেকে সংগৃহীত সমস্ত তথ্য বিডিসিসিএল হয়ে বিবিএস সার্ভারে পৌঁছানোর আগে নিরাপদভাবে এনক্রিপ্ট করা থাকবে, যা পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুসারে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এতে শুমারিকর্মীরা তথ্য সংগ্রহে সহায়তা পাবেন এবং জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা পুরোপুরি বজায় থাকবে।

শুমারির সব কার্যক্রম এবং মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ আইসিএমএস (ইন্টিগ্রেটেড সেন্সাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) দিয়ে মনিটর করা হবে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে তথ্য প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই শুমারির প্রতিবেদন প্রকাশ সম্ভব হবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এস এম শাকিল আখতার জানান, মূল শুমারির প্রস্তুতি হিসেবে প্রকল্প টিম বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন করেছে, যেমন বিভাগীয় ও জেলা শুমারি সমন্বয়কদের প্রশিক্ষণ। মাঠ পর্যায়ে উপজেলা/থানা শুমারি সমন্বয়কারী, জোনাল অফিসার এবং একলাখ ষোল হাজার ছয়শত তালিকাকারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এছাড়া, অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪-এ দেশের সব নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রকল্প টিম ব্যাপক প্রচার অভিযান পরিচালনা করেছে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো এবং প্রবণতার সঠিক ও হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে, যা দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় সহায়ক হবে।

এ শুমারির মাধ্যমে দেশের সব ইউনিটের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবারের শুমারির প্রতিপাদ্য হচ্ছে “অর্থনৈতিক শুমারিতে তথ্য দিন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে অংশ নিন।” সারাদেশে ৯০ হাজার গণনাকারী শুমারিতে অংশ নেবেন, এবং ১ লাখ ৪০ হাজার ট্যাবলেট ব্যবহার করা হবে। বাংলাদেশকে ১৩টি শুমারি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রথম অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালে, এরপর ২০০১ ও ২০০৩ সালে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে, চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।