আদানির বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশের পর্যালোচনার চাপ

আদানির বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশের পর্যালোচনার চাপ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অভিযোগ করেছে যে আদানি পাওয়ার, ভারতের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, কর ছাড় সুবিধার তথ্য গোপন করে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। পিডিবি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, আদানি পাওয়ার দ্রুত এই তথ্য জানাতে বাধ্য থাকলেও তা করেনি। কর সুবিধা অনুযায়ী বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ হলে বাংলাদেশ প্রায় ২৮.৬ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারত।

বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, আদানি পাওয়ার নিয়ে আলোচনায় সাশ্রয়ের বিষয়টিই প্রধান গুরুত্ব পাবে। গৌতম আদানির কোম্পানি ২০১৭ সালে ঝাড়খণ্ডের কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে

রয়টার্স জানিয়েছে, পিডিবির নথিপত্র, চিঠিপত্র এবং ছয় কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দরপত্র ছাড়াই যে চুক্তি করেন, তার খরচ অন্যান্য কয়লা বিদ্যুতের চুক্তির তুলনায় বেশি। এখন বাংলাদেশ সেই চুক্তি পুনর্বিবেচনায় আশাবাদী। বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়া দেশটির নিজস্ব উৎপাদন সক্ষমতাও যথেষ্ট, যদিও সব কেন্দ্র চালু নেই

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারান। তার বিরুদ্ধে গণতন্ত্র হরণের অভিযোগ ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার সমালোচনা উঠে। দীর্ঘ দুই দশক ধরে দেশের শাসনভার ধরে রাখার পাশাপাশি তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার বিদায়ের পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়।

রয়টার্স প্রথম জানায় যে কর ছাড় নিয়ে আদানি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। বার্তা সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, ২৫ বছরের বিদ্যুৎ চুক্তি পুনর্বিবেচনায় বাংলাদেশের পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। পাশাপাশি, গত নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে ২৬ কোটি ডলার ঘুষ দেওয়ার মামলায় আদানি ও তার সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়টি এই চুক্তি পর্যালোচনায় বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে আদানি পাওয়ারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা চুক্তির সব শর্ত মেনে চলেছেন এবং বাংলাদেশের চুক্তি পর্যালোচনা নিয়ে কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। কর সুবিধা ও অন্যান্য অভিযোগ নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগকে তারা ‘ভিত্তিহীন’ বলে অস্বীকার করেছে। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।