ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি

Iran6 20250613110832

কঠোর সেন্সরশিপ থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভিডিওচিত্র ধীরে ধীরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমসের একটি স্থাপনা এবং তেল আবিবের বেঞ্জুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

হামলার কিছু সময় পরই ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, এটি ‘শাস্তিমূলক প্রতিরোধ অভিযানের’ অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়েছে।

এর আগে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আইআরজিসির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ কাজেমি এবং তার দুই সহকর্মী হাসান মোহাক্কেক ও মোহসেন বাকেরি নিহত হন। আইআরজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবেই ইসরায়েলের বিভিন্ন গোয়েন্দা কেন্দ্র লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো আরও জানায়, ইয়েমেন থেকেও দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দিকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়া হয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৩ জুন ভোররাতে কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এসব হামলায় আবাসিক এলাকা লক্ষ্য হওয়ায় বহু সাধারণ মানুষ প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারাও ছিলেন।

এই ঘটনার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি নতুন সামরিক কমান্ডার নিয়োগ দিয়ে ঘোষণা দেন, “ইসরায়েলের জন্য দিনগুলো অন্ধকার হতে চলেছে।”

খামেনির বক্তব্যের পরপরই ইরান তেল আবিব, জেরুজালেম ও হাইফাসহ ইসরায়েলের প্রধান শহরগুলোতে পাল্টা হামলা চালায়। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেক ইসরায়েলি নাগরিক বর্তমানে বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে দিন কাটাচ্ছেন।

ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যতদিন প্রয়োজন এই প্রতিরোধমূলক অভিযান চলবে। যুদ্ধ বন্ধের কোনো লক্ষণ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।