
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কাঠামো ঠিক না থাকলে কিছুই দ্রুত করা সম্ভব নয়। গণতন্ত্রকে সফল করতে হলে প্রথমে কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণতান্ত্রিক উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর খামারবাড়িস্থ কৃষি ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন, জাতীয় সংলাপ ২০২৪’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে একটি জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় দেশকে স্বপ্নের মতো গড়ে তুলতে সবাইকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ৫৩ বছর পরও সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে হচ্ছে, যা একসঙ্গে কাজ করে আগেই সমাধান করা যেত।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১২ সাল থেকে আমি এবং আমার দল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছি। এই সময়ে বহু নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম ও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রায় ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে এবং ৭০০-র বেশি নেতাকর্মী গুম হয়েছেন। বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতাদের ফাঁসিও হয়েছে। এত নির্যাতনের পরও আমরা থেমে থাকিনি। শুরু থেকেই আমরা সোচ্চার ছিলাম, যা এখন আরও অনুপ্রাণিত করছে, কারণ অনেকেই আজ আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কার নিয়ে আমরা শুরু থেকেই আন্তরিক। ২০১৬ সালে বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন টুয়েন্টি-থার্টি-তে সংস্কারের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে ক্ষমতার ভারসাম্য, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুইবারে সীমাবদ্ধ রাখা এবং দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত ছিল।
২০২২ সালে আমরা ১০ দফা দাবি উত্থাপন করি এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করি। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।