
বাংলাদেশ ইসকন জানিয়েছে, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে অনেক আগেই সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তার কোনো বক্তব্য বা কাজের জন্য ইসকন দায়ী নয়। আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার স্বামীবাগ মন্দিরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসকন বাংলাদেশের নেতারা জানান, নৈতিক স্খলনের অভিযোগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে অনেক আগে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে তদন্ত চলছে। বর্তমান ঘটনায় ইসকনের কোনো জড়িত থাকার প্রমাণ নেই।
ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর চট্টগ্রামে ভক্তদের সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। এ ঘটনার জেরে দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং ইসকন নিষিদ্ধের দাবি উঠে বিভিন্ন মহল ও সামাজিক মাধ্যমে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইসকনের সভাপতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইসকন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি সংগঠন এবং এর কোনো দেশ বা গোষ্ঠীর সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই। ইসকনকে নিয়ে মিথ্যা প্রচার ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের আইনজীবী হত্যার ঘটনার সাথে ইসকনের কোনো যোগসূত্র নেই।
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের পর ভারতের উদ্বেগ ও মন্তব্য নিয়ে ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, ভারতের মন্তব্য বা অবস্থানের সাথে ইসকনের কোনো সম্পর্ক নেই। চিন্ময় কৃষ্ণকে নিয়ে কোনো দেশ বা ব্যক্তি কী বলছে বা কী করছে, সে জন্য ইসকন দায়ী নয়। এ সময় ইসকন চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকারীদের জন্য কঠোর শাস্তি ও ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানায়। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।