
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কড়াকড়ি আরোপ করে যাচ্ছেন। গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতি দেওয়া কেন্দ্রীয় তহবিলে ব্যাপক কাটছাঁট করেন। বৈষম্যমূলক নীতির অভিযোগে হার্ভার্ডের ২৬৫ কোটি ডলারের তহবিল কমিয়ে দেয় তাঁর প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছে।
সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। এমনকি বর্তমানে যারা ভর্তিরত আছেন, তাদের অন্যত্র স্থানান্তর করতে বলা হয়েছে, না হলে তারা বৈধতা হারাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানান, হার্ভার্ড আইন লঙ্ঘন করেছে, তাই এ সিদ্ধান্ত। এটি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি সতর্কবার্তা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
হার্ভার্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষে মোট শিক্ষার্থীদের ২৭.২ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থী ছিলেন বিদেশি। নতুন এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি ও প্রতিশোধমূলক আখ্যা দিয়ে হার্ভার্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য ও দেশের জন্য গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে। মুখপাত্র জেসন নিউটন বলেন, ‘আমরা আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি।’