
বিশ্বের একমাত্র স্বীকৃত উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে। এই হাসপাতালটি ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে অবস্থান করবে এবং চক্ষু চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজন করবে।
অরবিস হাসপাতালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর, এবং চিটাগাং আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অধ্যাপক ডা. মুনিরুজ্জামান ওসমানী বিমানবন্দরে উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালটিকে স্বাগত জানান।
চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা শহীদ ফারুকী জানিয়েছেন, অরবিসের ক্লিনিক্যাল টিম এবং স্বেচ্ছাসেবী বিশেষজ্ঞরা ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চক্ষুচিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের অস্ত্রোপচার এবং রোগীর যত্নের ওপর প্রশিক্ষণ দেবেন। এ সময় সিমুলেশন ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও চক্ষু বিষয়ক কর্মশালাও আয়োজন করা হবে।
শহীদ ফারুকী জানান, বাংলাদেশে এটি অরবিসের ১১তম ফ্লাইং আই হসপিটাল প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। প্রথমবার এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল ১৯৮৫ সালে এবং সর্বশেষ আয়োজন হয়েছিল ২০১৭ সালে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর এবং সিইআইটিসি হাসপাতালে চলমান এ কর্মসূচিতে ছানি, অকুলোপ্লাস্টিক, রেটিনা সার্জারি, শিশু গ্লুকোমা এবং কর্নিয়া চিকিৎসার পাশাপাশি অ্যানেস্থেসিওলজি, নার্সিং ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
অরবিস ইন্টারন্যাশনাল একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা, যা বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে দৃষ্টিসংক্রান্ত সেবা দিয়ে থাকে। এবারের বাংলাদেশ সফরের মূল লক্ষ্য হলো চক্ষুসেবা পেশাজীবীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও চোখের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে এবং অ্যালকন ফাউন্ডেশন ও ফেডেক্সের সহযোগিতায় এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। এছাড়া অ্যালকন কেয়ারস, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস), অফথালমোলজিকাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওএসবি) এবং ন্যাশনাল আই কেয়ার (এনইসি) কর্মসূচিতে সহযোগিতা করেছে। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।