আওয়ামী লীগ সরকারে থাকার সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অফিসে গোপন নির্যাতনের স্থান (যাকে আয়নাঘর বলা হয়) ছিল এবং গুম-খুনের অভিযোগ স্বীকার করে তারা ক্ষমা চেয়েছে। র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বৃহস্পতিবার সকালে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বলেন, র্যাব প্রতিষ্ঠার পর যারা র্যাব সদস্যদের কারণে নির্যাতিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মতো ঘটনাগুলোর শিকারদের পরিবারের প্রতি র্যাব গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে এবং তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছে।
এর আগে, ৫ ডিসেম্বর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালানো এবং হত্যার ঘটনায় শহীদ পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে পুলিশের নবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ক্ষমা চান। ৯ ডিসেম্বর, জুলাই আন্দোলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের ভুল আচরণের জন্য পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ক্ষমা চেয়েছিলেন। আজ র্যাবও তাদের অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে।
এ বিষয়ে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, “আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই, যত দিন আমি এই পদে থাকব এবং আমার সহকর্মীরা দায়িত্ব পালন করবেন, আমরা কখনোই কারো নির্দেশে গুম বা খুনসহ অন্য কোন অপরাধে জড়িত হব না। আমরা আশা করি, র্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্যাতন বা অত্যাচারের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার হবে।”
সাংবাদিকরা র্যাবের গোপন বন্দিশালা বা আয়নাঘরের বিষয়ে মহাপরিচালকের কাছে জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, র্যাবে আয়নাঘরের বিষয়টি ছিল এবং এখনো আছে। গুমের ঘটনা তদন্তে কমিশন আমাদের নির্দেশ দিয়েছে, যেভাবে ছিল, সেভাবেই রাখতে। কোনো পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা যাবে না, তাই আমরা আগের অবস্থাতেই তা রেখেছি।
র্যাব বিলুপ্তির প্রস্তাব নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাহিনীটির মহাপরিচালক বলেন, “আমি র্যাবে কাজ করছি, এবং যতদিন এখানে আছি, আমাদের দায়িত্ব নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করব। বিলুপ্তির বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই চূড়ান্ত হবে। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।”
সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, “মামলাটি হাইকোর্টের নির্দেশে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে, যেখানে র্যাবের একটি প্রতিনিধি রয়েছে। এই তদন্তে র্যাব পূর্ণ সহযোগিতা করবে। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।
