রংপুর রাইডার্স গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যদিও বিসিবি তাদের তিন বাংলাদেশি খেলোয়াড়কে প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে নিতে বলেছিল। ৮ ডিসেম্বর সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ওডিআই ম্যাচের ঠিক দুদিন আগে ৬ ডিসেম্বর গায়ানার প্রভিডেন্সে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ফাইনাল শুরু হয়। রিশাদ হোসেন, আফিফ হোসেন এবং সৌম্য সরকার ছিল সেই তিন খেলোয়াড়, যারা রংপুরের সব ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশ ওডিআই দলের সদস্য হলেও ফাইনালে খেলার অনুমতি পান।

রংপুর ফাইনালে ওঠে লাহোর কালান্দার্সকে হারিয়ে। তবে, পরের দিন আফিফ, রিশাদ এবং সৌম্য গায়ানা থেকে সেন্ট কিটসে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত ফ্লাইট মিস করেন। আফিফের এনওসি ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল, তাই তিনি জিএসএল ফাইনালে খেলার জন্য উপযুক্ত ছিলেন। তবে সৌম্য ও রিশাদের এনওসির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং বিসিবি রংপুরের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি তখন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিল, যিনি নিউইয়র্কে যাচ্ছিলেন।

ফাইনাল শুরু হওয়ার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে পরিস্থিতি ছিল অনিশ্চিত, তবে সব কিছু ঠিক মতো পরিকল্পনা অনুযায়ী শুরু হয়েছিল। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, একটি দল সর্বাধিক পাঁচজন বিদেশী এবং কমপক্ষে ছয়জন স্থানীয় খেলোয়াড় খেলাতে পারে। রংপুর বলেছিল যে, যদি বিসিবি তিনটি বাংলাদেশি খেলোয়াড়কে সরিয়ে নেয়, তবে তাদের ফাইনাল খেলা সম্ভব হবে না।

রংপুর রাইডার্স একটি বিবৃতিতে জানায়, “যদি বিসিবি তাদের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকে, তাহলে রংপুরকে মাঠে না নেমে ফাইনাল হারাতে হতে পারে। এমন ঘটনা বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুনাম ক্ষুণ্ন করবে, কারণ এটি খুবই অস্বাভাবিক, যেখানে কোনো দল খেলোয়াড়ের অভাবে ফাইনাল থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।”

এছাড়াও, তারা বলেন, “জিএসএল প্রতিযোগিতায় রংপুর শুধু নিজেদের নয়, বরং বাংলাদেশের পুরো ক্রিকেটের প্রতিনিধিত্ব করছে। তাই এমন একটি পরিস্থিতি ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক হবে।