
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শীতের হাওয়া বইছে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে, আর ঢাকায়ও মৃদু শীত অনুভূত হচ্ছে। ভোরের কুয়াশা, সন্ধ্যার পিঠার দোকান এবং শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন পোশাক পরা মানুষের উপস্থিতি শীতের আগমনী সংকেত। ঢাকার ফুটপাত ও শপিংমলেও শীতের পোশাকের বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে।
এই সময়ে শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন ধরনের লেপ, কম্বল, কমফোর্টার বিক্রি হচ্ছে। যদিও শীত দেরিতে এসেছে, তবে গরম কাপড়ের ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। বর্তমানে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা দোকানে শীতের পোশাকের বেচাকেনা জমে উঠেছে, যার মধ্যে জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার, শাল ও কম্বল রয়েছে।
রাজধানীর গুলিস্তান, নিউমার্কেট ও অন্যান্য এলাকায় শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। তবে পাইকারি দোকানে ঢাকার বাইরের ক্রেতাই বেশি দেখা যাচ্ছে।
শীতকেন্দ্রিক গরম কাপড়ের বেচাকেনা সাধারণত অক্টোবর থেকে শুরু হলেও এ বছর কিছুটা দেরিতে শুরু হয়েছে। তবে ডিসেম্বর থেকে ব্যবসা জমে উঠেছে, এবং দেশীয় ও বিদেশি পোশাকের পসরা সাজানো হয়েছে। শৌখিন কম্বল পুরোপুরি আমদানিনির্ভর, আর ত্রাণের কম্বল দেশেই তৈরি হয়। গরম কাপড়ের বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনায় জমে উঠেছে বেচাকেনা। ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুমি ব্যবসা হওয়ায় বেশি বিনিয়োগ করতে হয় এবং পণ্য বিক্রি না হলে টাকা আটকে যায়।
রাজধানীর গুলিস্তান অ্যানেক্স টাওয়ার এবং গুলিস্তান ট্রেড সেন্টারের অনেক দোকানে শীতকালীন পণ্য, including বিভিন্ন ধরনের কম্বল বিক্রি হচ্ছে। কম্বলের মধ্যে রয়েছে হেমার, ক্যাঙ্গারু, ডায়মন্ড কিং, চায়না, কোরিয়ান ও দেশি কম্বল। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর কম্বলের দাম বেড়েছে, মূলত মূল্যস্ফীতি ও ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে। তবে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, এবং গুলিস্তানে ফুটপাতে অনেক কম্বল বিক্রি হচ্ছে, যেখানে সৌদি আরব ও দুবাই থেকে লাগেজ পার্টি কম্বল নিয়ে আসছে।
এক ব্যবসায়ী জানান, তাদের দোকানে লোকাল কম্বল নেই, তারা ভালো মানের কম্বল কম দামে বিক্রি করে এবং ক্রেতাদের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ নেই। তবে এখন বেচাকেনা কম, ঢাকার বাইরের ক্রেতাই বেশি। নিউমার্কেটের বিসমিল্লাহ বেডিং স্টোরের স্বত্বাধিকারী সুলাইমান বলেন, তার দোকানে বিভিন্ন দামের দেশি, চায়নিজ, ভিয়েতনামি, কোরিয়ান সিঙ্গেল ও ডাবল কম্বল পাওয়া যায়, যা ৫০০ টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা দামের মধ্যে বিক্রি হয়।
গুলিস্তান অ্যানেক্স কো টাওয়ারের এক পাইকারি কম্বল দোকানে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি কম্বল পাওয়া যাচ্ছে। দাম ৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। দেশি ডাবল হেমার কম্বলের দাম ৯ হাজার টাকা, ক্যাঙ্গারু ডাবল পার্ট কম্বলের দাম ৬ হাজার টাকা, এবং কোরিয়ান ডাবল পার্ট কম্বলের দাম ১২ হাজার টাকা। বিক্রেতা জানান, বিদেশি কম্বলও পাওয়া যায়, যা জাকাতের জন্যও উপযুক্ত।
কম্বল ও কমফোর্টারের মধ্যে কমফোর্টার ব্যবহারে সুবিধা বেশি, কারণ এটি সহজে ধোয়া যায় এবং ওজনেও হালকা। নিউ সুপার মার্কেটের পপুলার বেডিং স্টোরের স্বত্বাধিকারী হানিফ জানান, তাদের দোকানে বিভিন্ন ডিজাইন ও রঙের চায়নিজ কমফোর্টার পাওয়া যায়। পাতলা কমফোর্টারের দাম ১,৬০০ টাকা এবং একটু মোটা কমফোর্টারের দাম ৩,০০০ টাকা। শামীম নামে এক ক্রেতা জানান, তিনি কম্বল ধোয়া ও শুকানোর ঝামেলা এড়াতে সিঙ্গেল কমফোর্টার কিনেছেন। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।