
আজ পবিত্র শবে বরাত, শবে বরাত সম্পর্কে হাদিসে যা বর্ণিত আছে: আজ শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। শবে বরাত ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত, যা শাবান মাসের ১৪ তারিখে পালন করা হয়। এই রাতে মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগারসহ বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।
শাবান মাসের ১৪ তারিখের রাতকে শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত বলা হয়। মুসলিমদের বিশ্বাস, এই রাতে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভ করেন অসংখ্য মানুষ। এটি ‘নিষ্কৃতি ও মুক্তির রজনী’ হিসেবে পরিচিত। শবে বরাতের রাতে আল্লাহ তায়ালা তার সৃষ্টির প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষী ছাড়া সকলকে ক্ষমা করেন, যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। (ইবনে হিব্বান, হাদিস ৫৬৬৫)
শবে বরাতের নামাজ নফল এবং সাধারণ নামাজের মতোই। এতে কোনো বিশেষ পদ্ধতি নেই। দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত করে, আপনার সক্ষমতা অনুযায়ী নামাজ পড়তে পারেন। শবে বরাতের রাতে মাগরিব নামাজের পর ৬ রাকাত নফল নামাজ পড়া উত্তম। এশার পর সারারাত দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করা যায় এবং কাজা নামাজ আদায়ের সুযোগও থাকে।
সালাতুল তাসবীহ নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, শাবানে একদিন রোজা রাখলে তার জন্য আমার সাফায়াত হবে।
দোয়াটি হলো: اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ
(অর্থ) ‘হে আল্লাহ, আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রজব মাস শুরু হলে রাসুল (স.) এই দোয়া পাঠ করতেন। (বায়হাকি: ৩৫৩৪; নাসায়ি: ৬৫৯; মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)।