
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের কয়েকশ বিমান হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং ইসরায়েলকে এসব হামলা বন্ধ করতে অনুরোধ করেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, সিরিয়াজুড়ে সব পক্ষের সহিংসতা বন্ধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এই হামলাগুলোর পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী সম্ভাব্য হুমকি প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। বাশার আল-আসাদের শাসন পতনের পর থেকেই সিরিয়ায় হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েল সিরিয়ায় পাঁচশোরও বেশি হামলা চালিয়েছে।
সর্বশেষ হামলায়, ইসরায়েলি বাহিনী লাতাকিয়া, তারতুস এবং অন্যান্য স্থানগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। তারতুসে অস্ত্র গুদাম, ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং রাডার স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা করা হয়। লাতাকিয়ার রাডার স্থাপনা, দেইর আজোরের সেনাক্যাম্প এবং সামরিক বিমানবন্দরেও হামলা চালানো হয়েছে।
রোববার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর ১২ দিনের সংক্ষিপ্ত আক্রমণে বাশার আল-আসাদের সরকার পতন হয়। তিনি সিরিয়া ত্যাগ করে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন। তাঁর সরকারের পতনের পরপরই সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলার পরিমাণ নাটকীয়ভাবে বাড়তে থাকে।
ইসরায়েলি বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গত ৪৮ ঘণ্টায় তারা সিরিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে ৪৮০টিরও বেশি হামলা করেছে। এসব হামলার মধ্যে দামেস্ক, হোমস, তারতুস, পালমিরা, লাতাকিয়া এবং দেইর আজোরের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি রিপোর্ট করেছে, গত কয়েক দিনে ইসরায়েল সিরিয়ার ১৩টি প্রদেশে বিমান হামলা চালানোর তথ্য নথিভুক্ত করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এসব হামলাকে ‘উদ্বেগজনক’ উল্লেখ করে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের অবস্থান সমর্থন করে বলেছে, এই হামলাগুলো তাদের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।