বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে

বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে

 

দেড় মাসের ব্যবধানে আবারও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় রিজার্ভের এই উত্থান সম্ভব হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর মানদণ্ড অনুযায়ী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার ডলার

জানা গেছে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর করেই দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের মাত্র ২২ দিনেই প্রবাসীরা দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর আগে, গত ৬ নভেম্বর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছিল।

গত ১১ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু)-এর মাধ্যমে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানি পণ্যের বিল হিসেবে বাংলাদেশ ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধ করে। এর ফলে আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গিয়ে ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। ডলারপ্রতি ১২০ টাকার মান নির্ধারণ ও বাজার চাহিদার ভারসাম্যে রিজার্ভ ১৯-২০ বিলিয়ন ডলারে স্থিতিশীল ছিল

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা বন্ধ করে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে আমদানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে ডলারের দাম বাড়তে থাকে। ব্যাংকগুলোকে রেমিট্যান্সের ডলার কেনার জন্য সর্বোচ্চ ১২৭.৭০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়েছে

বাংলাদেশ ব্যাংক তিন ধরনের রিজার্ভ রাখে: একটি আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, দ্বিতীয়টি ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ, যা বর্তমানে ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে, এবং তৃতীয়টি হলো মোট রিজার্ভ। বাংলাদেশ এখন প্রায় চার মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ রাখে।

বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে, এবং বিভিন্ন উৎস থেকে নিয়মিত ডলার আসায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।